ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বিক্রি!
মাসুদ আলম, ইউ এ ই।
আল আইন সিটিতে একজন মিশরীয়কে বলেছিলাম, তোমরা ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে বসে আছ আর ২০১৭ সালে কাতার কে বয়কট কর ফিলিস্তিনের হামাস কে কেন সহায়তা করে এই ছুতায়!
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ইমাদ ইব্রাহীমের দেয়া উত্তরটা আমার অনুমেয় ছিল তবে সে একটু ভিন্ন ভাবে দিয়েছিল- "এজন্য খালেদ ইস্তাম্বুলিকে ধন্যবাদ!"
বললাম আনোয়ার সাদাত শেষ, কিন্তু চুক্তিতো রয়েগেছে, তোমরা তো বাতিল করতে পারতে? বললো , মনে হয় কোন সরকারই তা করবে না।
আমিও বিশ্বাস করি, কেননা মিশরে সেই দলই ক্ষমতায় যায় যারা দখলদার ইসরাইলের সমর্থন পায়।
আর জনসমর্থন নিয়ে যদিও দূর ভবিষ্যতে কেউ আসে তাদের ভাগ্যে কি হয় তা মুসলিম ব্রাদারহুডের অবস্থা দেখলেই বুঝা যায়।
তাছাড়া এই চুক্তি বাতিল হলে মিশরকে দেয়া বার্ষিক ২০০ কোটি ডলারের মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দিবে আমেরিকা। যেটা ১৯৭৮ সাল থেকে নিয়মিত পেয়ে আসছে মিশর।
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমেই মূলত মুসলিমদের ঐক্যে চিড় ধরা শুরু হয় এবং সেই থেকে দখলদার ইসরায়েলের সাহস বাড়তে শুরু করে।
আমেরিকার ওয়াশিংটনের ক্যাম্প ডেভিডে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত , দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট মেনাখেম বেগিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের এর মধ্যে ১২ দিন গোপন আলোচনা ও দর কষাকষির পর সম্পাদিত এই চুক্তিটি কোন মুসলিম রাষ্ট্রই সমর্থন করেনি বরং বিরোধীতা করেছিল।
ফলে আরব লীগ থেকে মিশরকে তখন বহিষ্কার করা হয়েছিল। (ছবিতে বামে আনোয়ার সাদাত, মাঝে জিমি কার্টার এবং ডানে মেনাখেম বেগিন।
এই চুক্তির সবচেয়ে ক্ষতিকর ও আত্মঘাতী ধারাটি হল -" মিশর তার সিনাই উপত্যাকা থেকে সমস্ত সৈন্য ও সামরিক কার্য্যক্রম প্রত্যাহার করে নেবে এবং আর কখনোই সৈন্য মোতায়ন করবে না"!
এর ফলে দখলদার ইসরায়েলের মাথার "ভিতরের টিউমার" টি অপসারিত হয় এবং তাদের সামরিক বাহিনীর বিশাল একটি অংশ যারা আগে মিশরীয় সৈন্যদের মোকাবেলায় সারা বছর তটস্থ থাকত ।
তাদেরকে নিয় লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়োজিত করে এবং মিশরের সাথে বিশাল অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
যাহোক , জাতি ও রাষ্ট্রের সাথে যারা বেঈমানি করে তাদের পরিণতি যে সুখকর হয়না সেটা আনোয়ার সাদাত কে বুঝিয়ে দিয়েছিল একজন ফার্স্ট ল্যাফটেনেন্ট খালেদ ইস্তাম্বুলি। তার গুলিতেই নিহত হন আনোয়ার সাদাত।
মাসুদ আলম, ইউ এ ই।
আল আইন সিটিতে একজন মিশরীয়কে বলেছিলাম, তোমরা ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে বসে আছ আর ২০১৭ সালে কাতার কে বয়কট কর ফিলিস্তিনের হামাস কে কেন সহায়তা করে এই ছুতায়!
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ইমাদ ইব্রাহীমের দেয়া উত্তরটা আমার অনুমেয় ছিল তবে সে একটু ভিন্ন ভাবে দিয়েছিল- "এজন্য খালেদ ইস্তাম্বুলিকে ধন্যবাদ!"
বললাম আনোয়ার সাদাত শেষ, কিন্তু চুক্তিতো রয়েগেছে, তোমরা তো বাতিল করতে পারতে? বললো , মনে হয় কোন সরকারই তা করবে না।
আমিও বিশ্বাস করি, কেননা মিশরে সেই দলই ক্ষমতায় যায় যারা দখলদার ইসরাইলের সমর্থন পায়।
আর জনসমর্থন নিয়ে যদিও দূর ভবিষ্যতে কেউ আসে তাদের ভাগ্যে কি হয় তা মুসলিম ব্রাদারহুডের অবস্থা দেখলেই বুঝা যায়।
তাছাড়া এই চুক্তি বাতিল হলে মিশরকে দেয়া বার্ষিক ২০০ কোটি ডলারের মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দিবে আমেরিকা। যেটা ১৯৭৮ সাল থেকে নিয়মিত পেয়ে আসছে মিশর।
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমেই মূলত মুসলিমদের ঐক্যে চিড় ধরা শুরু হয় এবং সেই থেকে দখলদার ইসরায়েলের সাহস বাড়তে শুরু করে।
আমেরিকার ওয়াশিংটনের ক্যাম্প ডেভিডে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত , দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট মেনাখেম বেগিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের এর মধ্যে ১২ দিন গোপন আলোচনা ও দর কষাকষির পর সম্পাদিত এই চুক্তিটি কোন মুসলিম রাষ্ট্রই সমর্থন করেনি বরং বিরোধীতা করেছিল।
ফলে আরব লীগ থেকে মিশরকে তখন বহিষ্কার করা হয়েছিল। (ছবিতে বামে আনোয়ার সাদাত, মাঝে জিমি কার্টার এবং ডানে মেনাখেম বেগিন।
এই চুক্তির সবচেয়ে ক্ষতিকর ও আত্মঘাতী ধারাটি হল -" মিশর তার সিনাই উপত্যাকা থেকে সমস্ত সৈন্য ও সামরিক কার্য্যক্রম প্রত্যাহার করে নেবে এবং আর কখনোই সৈন্য মোতায়ন করবে না"!
এর ফলে দখলদার ইসরায়েলের মাথার "ভিতরের টিউমার" টি অপসারিত হয় এবং তাদের সামরিক বাহিনীর বিশাল একটি অংশ যারা আগে মিশরীয় সৈন্যদের মোকাবেলায় সারা বছর তটস্থ থাকত ।
তাদেরকে নিয় লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়োজিত করে এবং মিশরের সাথে বিশাল অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
যাহোক , জাতি ও রাষ্ট্রের সাথে যারা বেঈমানি করে তাদের পরিণতি যে সুখকর হয়না সেটা আনোয়ার সাদাত কে বুঝিয়ে দিয়েছিল একজন ফার্স্ট ল্যাফটেনেন্ট খালেদ ইস্তাম্বুলি। তার গুলিতেই নিহত হন আনোয়ার সাদাত।
No comments