Header Ads

Header ADS

"করোনা ভাইরাস এবং ইলুমিনাতি " জীবানু যুদ্ধের প্রথম ধাপ!

"করোনা ভাইরাস এবং ইলুমিনাতি " জীবানু যুদ্ধের প্রথম ধাপ!
মোঃ আইয়ুব হোসাইন

করোনা ভাইরাস! করোনা গোত্রীয় ৬ টি ভাইরাস মানব দেহের মধ্যে সংক্রমিত হলেও এবারের করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণ আলাদা, নতুন প্রজাতির ভাইরাস, মানুষের কাছে এই ভাইরাসের কোন তথ্য উপাত্ত নেই।
বলা হচ্ছে চীনের উহান শহরের এক সী ফুড মার্কেট থেকে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে এবং অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এবারের এই করোনা ভাইরাস চীনে মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
আসলেই কি করোনা ভাইরাস উহানের সী ফুড মার্কেট থেকে ছড়িয়েছে নাকি এই ভাইরাসকে ছড়ানো হয়েছে। দেখা যাক প্রকৃত ঘটনা কি?
ইলুমিনাতি কি : দ্য ইলিউমিনাটি বা ইলুমিনাতি একটি ইহুদি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের ১ মে ব্যাভারিয়া (জার্মানি) তে অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ "যারা কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবী করে" অথবা "বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কোনো দল"।
এই সিক্রেট সংগঠন বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তি বা সংগঠনকে প্রভাবিত করে এই সংগঠনের পক্ষে কাজ করার কথা বলে। কেননা এই সংগঠন বিশ্বাস করে প্রভাবশালী ব্যাক্তি বা সংগঠন ছাড়া সমাজকে প্রভাবিত করা সম্ভব না।
ইলুমিনাতি কি চায় : New World Order বা One World Government হলো ইলুমিনাতির মূখ্য বিষয়। তারা চায় বিশ্বে একক মুদ্রা, অভিন্ন নীতিমালা। কিন্তু তাদের এই চাওয়ার প্রধান অন্তরায় হলো বিশ্বের অধিক জনসংখ্যা। ইলুমিনাতি মনে বর্তমানে বিশ্বে জনসংখ্যা বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে। আর বর্তমান পৃথিবী এই অধিক জনসংখ্যার ভার বহন করতে অপারগ। তাই ইলুমিনাতি মনে করে পৃথিবী থেকে এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হবে।
ইলুমিনাতির মুল লক্ষ্য যে কোন মূল্যে বিশ্বের এই অধিক জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা। তাই তারা মনে করে জন্মনিয়ন্ত্রণ, ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এখন দেখা যাক ইলুমিনাতির সাথে করোনা ভাইরাসের সম্পর্ক :
ইলুমিনাতির নিজস্ব সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হলো WHO (World Health Organization)। WHO প্রতিনিয়ত ইলুমিনাতির রুপরেখা বাস্তবায়ন করে।
GPMB (Global Preparedness Monitoring Board) হলো WHO এর একটা শাখা। এখানকার রিসার্চ টিম আগের বছর সেপ্টেম্বর এর দিকে বলেছিলো, 'খুব দ্রুত পৃথিবীতে এমন একটি মরণ ভাইরাস আসছে যা ৫ থেকে ৮ কোটি মানুষকে মেরে ফেলবে। আর এই ভাইরাসটি খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়বে। আর এ ভাইরাসটির নাম "Disease X"
২৪ শে জানুয়ারি WHO এর মুখপাত্র তারিক জাসরেভিক বলেছেন যে, 'বর্তমানে চায়নার করোনা ভাইরাসের মধ্যে Disease X এর সবধরনের লক্ষন পাওয়া গেছে (https://www.voanews.com/…/who-expects-coronavirus-cases-dea…)।
২০১৮ সালের ২৭ শে এপ্রিল বিল গেটস ভবিষ্যৎবানী করেন পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসে ৩ কোটি মানুষ মারা যাবেন ( https://tbsnews.net/…/bill-gates-predicted-coronavirus-outb…)
বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে ইংল্যান্ডের The Pirbright Institute (https://www.pirbright.ac.uk/…/avian-viral-dis…/coronaviruses)।
২০১৮ সালের ২০ শে নভেম্বর তারা করোনা ভাইরাস নিয়ে তাদের পাবলিকেশন প্রকাশ করে এবং সেই দিনই তাদের এপ্লিকেশন মঞ্জুর হয়। বর্তমানে তারা এই করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে এবং ২০৩৫ সালের ২৩ শে জুলাই তাদের প্রজেক্ট শেষ হবে। বিল এবং মিলিন্ডা ফাউন্ডেশন নিয়মিতভাবে এই গবেষনাগারে অর্থ দিয়ে থাকেন।
২০১৪ সালে বিল এন্ড মিলিন্ডা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বিল গেটস ভারতে ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের ক্যাম্পেইন করেন। এই পোলিও ভ্যাকসিন খেয়ে ৪৭০০০ হাজার শিশু প্যারালাইজড হয়ে যায়
(http://le-blog-sam-la-touch.over-blog.com/…/bill-gates-poli…)। পরবর্তীতে এই নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোটে মামলা হয়।
এবার WHO এর কার্যক্রমের দিকে একটু নজর দেই। ১৯৫৪-৫৭ সালে আফ্রিকায় লক্ষ্যের উপর আফ্রিকানদের উপর পোলিও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন WHO এর ডাক্তার হিলারি কপোরস্কি। এই হিলারি কপোরস্কি ইবোলা ভাইরাস এবং এইডস নিয়ে গবেষণা করতেন।
তার নামে বলা হয় তিনি পোলিও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এইডস ছড়িয়েছেন। আফ্রিকায় ২০১৩-১৬ সালে ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় WHO ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অনুন্নত বা তৃতীয় বিশ্বে রোগ ছড়িয়ে দিতে WHO এর যথেষ্ট সুনাম আছে। শিশু এবং মহিলাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের নামে বিভিন্ন ভ্যাকসিন ব্যবহার করে থাকে। আর এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে দেয়।
ইলুমিনাতির মুল লক্ষ্য বিশ্বের জনসংখ্যা কমানো। আর এই লক্ষ্যে তারা চায়নাকে টার্গেট করতে পারে কেননা চায়নাতে অধিক জনসংখ্যার জন্য এই রোগ দ্রুত গতিতে সংক্রামিত করা যাবে এবং একইসাথে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা কমে যাবে। সেইসাথে চায়নার অর্থনীতি ও ধসিয়ে দেওয়া সম্ভব।
তাই প্রশ্ন থেকে যায় এই করোনা ভাইরাস ল্যাবে তৈরি নাকি উহানের সী ফুড মার্কেট থেকে ছড়িয়েছে?? কেননা যে করোনা ভাইরাস একেবারেই অজানা সেই করোনা ভাইরাস নিয়ে বিল গেটস এবং WHO আগেই কিভাবে ভবিষ্যৎবানী করতে পারে?? তাই সন্দেহ থেকেই যায়। আল্লাহ আলম ।

No comments

Powered by Blogger.