Header Ads

Header ADS

দাজ্জালের জন্য পৃথিবী প্রস্তত!

দাজ্জালের জন্য পৃথিবী প্রস্তত!
কায়সার আহমাদ
দাজ্জালী শক্তি পৃথিবীকে নিজস্ব রূপ দিয়েছে, নিজস্ব ইচ্ছায় সাজিয়ে নিয়েছে। আমরা একে বলতে পারি, 'সেইপিং এন্ড প্রিপেয়ারিং দ্য ওয়াল্ড ফর দাজ্জাল' অর্থাৎ দাজ্জালের জন্য দুনিয়াকে প্রস্তুত করা এবং আকার দেয়া। আমরা এখন বিশ্বের যে আকার গঠন এবং সেইপ দেখছি, তা পুরো দাজ্জাল বান্ধব করে তৈরি করা হয়ছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া এবং ধর্মীয় সকল ক্ষেত্রকে একটি পরিকল্পনা মাফিক রূপ দেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার একটি বড় অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। যদিও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন চলছে যুগ যুগ ধরে তবে সবচে বেশি কাজ হয় বিংশ শতাব্দীর ত্রিশ দশক পর্যন্ত। এসময়ে দাজ্জাল (অর্থাৎ দাজ্জালী শক্তি) কয়েকটি কাজ করিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
- যায়নিস্ট মুভমেন্ট তৈরি করা
- উগ্র জাতীয়তাবাদকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসা
- জার শাসন ভেঙ্গে বলেসেভিক বিপ্লব এবং সোভায়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা
- চীনের মাঞ্জু রাজবংশের পতন
- ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা
- প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ
- নারীদেরকে ভোটাধিকার দেয়া
- ব্যালফোর ঘোষণা, জেরুজালেমের পতন
- শেষ মুসলিম খিলাফা উসমানিদের পতন
- সেক্যুলার তুর্কি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা
- প্রথমবার হাইপার ইনফ্লেশন- টেস্ট
- হিজাজে শারিফ হুসাইনের বিদ্রোহ, আব্দুল আজিজ বিন সৌদের ক্ষমতায় আসা
বর্তমান বিশ্বের সেইপ (আকার) তৈরিতে এগুলো ঘটনাই প্রধান অবদান রেখেছে। উপরের প্রতিটি বিষয় আলাদা করে আলোচনার দাবী রাখে। তবে আমি এখানে বলব আরেকটি বড় ঘটনা নিয়ে। সেটা হল 'ফার্স্ট ওয়েভ অফ ফেমিনিজম'। উপরের ঘটনা গুলো বিশ্বকে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সেইপ দিয়েছে। কিন্তু নারীবাদী আন্দোলন দিয়েছে সামাজিক সেইপ। এতে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষ ছড়িয়ে পড়ে।
নারীবাদীদের মধ্যে ইয়াহুদি বংশধর নাস্তিক ও নৈরাজ্যবাদী Emma Goldman ছিলেন নারীবাদী আন্দোলনের অন্যতম এক কর্মী। The Twentieth Century: A Brief Global History বইতে বিংশ শতাব্দীতে যে ৫টি ঘটনাকে উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল Emma Goldman এর কর্ম এবং দর্শন। নাস্তিকতা, সমকামিতা, নারী স্বাধীনতা তথা নারীবাদীতার পক্ষে তিনি লিখেছেন। অর্থাৎ শয়তানী কোনো কিছু তিনি বাদ দেননি। সম্ভবত তিনিই প্রথম নারীদের মধ্যে 'আমার দেহ আমার ইচ্ছা' এই চিন্তাধারার প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন। তার একটি বিখ্যাত উক্তি হল-
"আমি নারী স্বাধীনতা চাচ্ছি; নারীদের অধিকার রয়েছে নিজের জন্য বাঁচার, যাকে ইচ্ছে ভালোবাসার, যতজনকে ইচ্ছে ভালোবাসার।"
এসময়ে women's suffrage movement সফল হয়। যদিও ইসলাম, ইয়াহুদি এবং খ্রিষ্টান তিন ধর্মেই নারীদের ভোটাধিকার নিষিদ্ধ। দাজ্জালি শক্তি ইকুয়াল রাইটস'এর নামে এর বৈধতা দেয়। এরপরে ফেমিনিস্টিদের একের পর এক ৪টি ওয়েভ সম্পন্ন হয় এবং বিশ্বের বর্তমান সামাজিক সেইপ তৈরি হয়।
নারীবাদীতা সমাজের জন্য কতটা বিধ্বংসী তা অনেকে বুঝতে পারে না। আজ সমাজের যতটা অধঃপতন হয়েছে তাতে নারীবাদী আন্দোলন অন্যতম ভূমিকা রেখেছে।
আমেরিকান মেডিয়া ব্যক্তিত্ব Pat Robertson বলেন,
"নারীবাদীতা স্বামীকে ত্যাগ করতে, সন্তানকে হত্যা করতে, কালো যাদু চর্চা করতে, সমকামী হতে নারীদের উৎসাহ দান করে"
উপরে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনাই একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদেরকে শুধু একটির সাথে অন্যটি মিলিয়ে দেখতে হবে। তাহলে এক সূক্ষ্ম পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাবো। যা বর্তমান দুনিয়াকে এক নির্দিষ্ট রূপ দিয়েছে, যা আজও চলছে।

No comments

Powered by Blogger.