Header Ads

Header ADS

কাফিরের হাতে মুসলিমের দেহ নিহত হলে সে শহীদ ঃ কায়সার আহমাদ

কাফিরের হাতে মুসলিমের দেহ নিহত হলে সে শহীদ, বিজয়ীঃঃ কায়সার আহমাদ।

কিছু তিক্ত কথা শুনে রাখা উচিত। ভারতীয় মুসলিমরা দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে নিজেদের ভাই-বোনদের নির্যাতিত হতে দেখছে, কিন্তু একবারও প্রতিবাদ করেনি। কখনো পাকিস্তানী ট্যাগ লাগার ভয়ে তো কখনো জঙ্গির ট্যাগ। তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে। ৭০ বছরেও ভারতে কোনো বড় মুসলিম নেতা তৈরি হয়নি, যিনি মুসলিমদের পক্ষে কথা বলবেন। সেখানে মুসলিমদের অবস্থা একটি থার্ড ক্লাস সিটিজেন ব্যতীত আর কিছু নয়। নামে শাহরুখ সালমানদের দেখে তারা পুলকিত হয়ে ভাবে মুসলিম হিন্দু সেখানে সমান। কিন্তু পূজার মণ্ডপে মুসলিমরাই দ্বীনে ছাড় দিয়ে তিলক মালা পড়ে উপস্থিত হত। নিজেদের সন্তানদের রাম কৃষ্ণের পোশাকে সাজাতো। পূজায় ব্যাঘাত না ঘটে বলে আযানের মাইক বন্ধ করে দিত। এই সব সেক্রিফাইসের জীবন তাদের কী দিয়েছে?

কাশ্মীরে মুজাহিদরা হিন্দু সেনাকে কতল করলে তারা হিন্দু সেনাকে শহিদ উপাধিতে ভূষিত করত। রাস্তায় রাস্তায় কুর'আন খতমের আয়োজন করত। স্টেজে রাম-রহিম এক বলে তাওহিদের বাণী ভুলে গিয়ে মঞ্চ কাঁপাত। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে জাতীয়তাবাদের চোখ দিয়ে দেখত। শচিন-অমিতাবের জন্য প্রাণ কুরবান করত। আজ ভারতে যা ঘটছে তা তাদের হাতের কামাই নয় কি? এই কামাই হল ঐ জাহিলদের যারা মুরতাদ এপিজে আব্দুল কালাম-কে নিয়ে গর্ব করত। যে মুশরিকদের হাতে মুসলিম নিধনের অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এই কামাই তাদের যারা ইসলামকে কেবল কয়েকটি মাদরাসায় সীমাবদ্ধ রেখেছে। এই কামাই তাদের যারা মাহমুদের মত গাদ্দারের পক্ষ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। এই কামাই তাদের যারা হিন্দুদের ভয়ে গরুর গোশত খাওয়া এবং কুরবানি করা হারাম ফাতওয়া দিয়েছিল। বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণের রায় যারা মেনে নিয়েছিল এই কামাই তাদের। এই কামাই তাদের যারা নিজ মুসলিম ভাইকে গরুর গোশত বহনের অপরাধে হিন্দুদের দ্বারা শহিদ হতে দেখে প্রতিবাদ করত না। মনে রাখতে হবে উম্মাহর সামগ্রিক পাপ ক্ষমার উপযুক্ত নয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর ৮ লক্ষ সেনা মোতায়েন করে ২২০ দিন ধরে কাশ্মীরী মুসলিমদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তখন ভারতীয় মুসলিমরা প্রতিবাদ করেনি। প্রতিবাদ করেছে তাদের প্রাণের ভারতের নাগরিকত্ব বাতিলের আশংকা তৈরি হবার পর।

আফগানীদের কথা বলেন। তারা যে কুরবানি দিয়েছে তা কি পাকিস্তান বাংলাদেশ বা ভারতের মুসলিমরা দিয়েছে? উল্টো যখন তালিবান ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের মাথায় তুলে নিয়েছিলাম। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরে তাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে রাতারাতি রঙ বদলে ফেললাম। এখন আবার ক্ষমতা দেখে তাদের মাথায় তুলে নিয়েছি। এমন চলবে না। তারা যে ত্যাগ দিয়েছে তার কিছুটাও না দিলে ইসলামের বৃক্ষ কি করে ডাল-পালা মেলে ধরবে। আরাকানি-আফগানি-কাশ্মীরী মরবে আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব, ইসলামে কি এর কোনো সুযোগ আছে?

ভারতীয় মুসলিমরা আমাদের ভাই। আমাদের শরীরের অংশ। কাশ্মীরে কিংবা দিল্লীতে, আরাকানে বা ফিলিস্তিনে যেখানেই মুসলিমরা নির্যাতিত হবে আমরা একই রকম ব্যথিত হব। এটাই ঈমানের দাবী। অন্যথায় আল্লাহ এক জাতিকে অন্য জাতির দ্বারা প্রতিস্থাপন করে দিবেন। পরিবর্তন আনতে হলে কুরবানি দিতে হবে। নতুবা আমরা কি চাই এই উপমহাদেশের অবস্থা আরো শত বছর এমনি চলুক? যদি না চাই তাহলে কুরবানি দিতে হবে। 

কাফিরের হাতে মুসলিমের দেহ নিহত হলে সে শহীদ, বিজয়ী
আত্না নিহত হলে সে চরম পরাজয়ী

No comments

Powered by Blogger.