ভারতীয় মুসলানদের ঐতিহাসিক ভূল এবং আমাদের করনীয়।
ভারতীয় মুসলানদের ঐতিহাসিক ভূল এবং আমাদের করনীয় : আবু মুহাম্মদ।
ভারতীয় মুসলিমদের ভুল ছিল। কারণ তারা পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয়নি। যখন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়, তখন ইসলামের নীতি হলো, তোমরা মুসলিমপ্রধান এলাকায় চলে যাও বা হিজরত কর। এর পুরস্কার হিসেবে অচিরেই আল্লাহ তোমাদের পুনরায় হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করে দিবেন। উপরন্তু যেসব কাফেররা তোমাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল আল্লাহ তাদের মুসলিম বানিয়ে দিবেন। মক্কা থেকে প্রতিটি মুসলমান মদিনায় হিজরত করেছিল। মক্কায় প্রতিটি সাহাবীর (রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম) বাড়ি, মাল ও নানাবিধ সম্পদ ছিল। কিন্তু ধর্মীয় কারণে তারা তাদের সমস্ত সম্পদ পরিত্যাগ করে একপ্রকার খালি হাতে মদিনায় চলে যান। এরপর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিজয়ীর বেশে তাদের মক্কায় ফিরিয়ে আনেন। কাজেই এ ঘটনার মধ্যে চিন্তাশীলদের জন্য শিক্ষা আছে। ভারতীয় মুসলিমরা এ কোরবানিটুকু তখন করেনি। আজকে তাদের কাফফারাসহ সে কোরবানি দিতে হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী বাঙ্গালী মুসলিমরা আল্লাহর ইচ্ছায় পাকিস্তানের সাথে যোগ দিয়ে বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর অংশ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আমাদের তৎকালীন নেতাদের আল্লাহ জাযাখায়ের দান করুন যারা বাংলাদেশকে ভারতের সাথে না রেখে পাকিস্তানের সাথে সংযোজন করেছিলেন। তাদের কবরে চিরকাল এর সওয়াব পৌঁছিয়ে দিন। কারণ ভারতের সাথে থাকলে আজকে বাংলাদেশেরও কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, গুজরাট ও দিল্লীর মতো পরিস্থিতি হতো। এরপর যদিও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তা হতেই পারে। সাহাবী রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুমদের মধ্যেও রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন। কিন্তু সেসময় যেসব হিন্দু নেতারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিল আল্লাহ তাদের সমূলে উৎখাত করে দিয়েছেন। ভারতীয় কংগ্রেস, ইন্দিরা গান্ধী এসব আজকে বই পুস্তকের ইতিহাসের বিষয় হয়ে গেছে। তাদের আজ আর বাস্তব কোন ভ্যালু নেই। এসবই আল্লাহর ইচ্ছা। কারণ মানুষ ষড়যন্ত্র করে, কিন্তু আল্লাহই মহাপরিকল্পনাকারী।
সেদিন ভারতীয় মুসলমানরা মুসলিম প্রধান অঞ্চলে হিজরত করেননি। হয়তোবা নিজ জন্মভূমি ভারতে তাদের বাড়ি, মাল ও সম্পদ ছিল যা ফেলে রেখে যাওয়ার কথা তারা চিন্তা করতে পারেননি। এরপর সারাজীবন তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদ, বা আমি একজন ভারতীয় মুসলিম জপতে জপতে জীবন পার করল। কখনো ইসলামকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তারা চিন্তা করেনি। বরং ইসলাম ধর্মকে তারা রাষ্ট্রীয় সীমানা থেকে দেওবান্দ মাদ্রাসা, নিজামুদ্দিন ও খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির মাজারে বন্দি করে ফেলল। কিন্তু তারপরও তাদের শেষরক্ষা হলো না। ঠিকই হিন্দুরা তাদের হিংস্র দাঁত বের করে তাদের উপর আক্রমণ করল।
এসব কিছুর পরও আমরা বাঙ্গালী মুসলিমরা জানি, ভারতীয় মুসলিমরা আমাদের ভাই। একই উম্মাহর রক্ত আমাদের শরীরে প্রবাহমান। তারা কষ্ট পেলে আমরাও কষ্ট পাই। তাদের উদ্বিগ্নতায় আমরাও উদ্বিগ্ন হই। তাদের নির্ঘুম রাত আমাদেরও ঘুমাতে দেয় না। এটাই আমাদের বড় পরিচয় আমরা মুসলিম ভাই। আজ আর কারো দোষ খোঁজার সময় নয়। এখন সময় হয়েছে সবার সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতিকে একপাশে ফেলে শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ের কারণে ভাই ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরা। ভাই ভাইয়ের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা।
ভারতীয় মুসলিমদের ভুল ছিল। কারণ তারা পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয়নি। যখন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়, তখন ইসলামের নীতি হলো, তোমরা মুসলিমপ্রধান এলাকায় চলে যাও বা হিজরত কর। এর পুরস্কার হিসেবে অচিরেই আল্লাহ তোমাদের পুনরায় হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করে দিবেন। উপরন্তু যেসব কাফেররা তোমাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল আল্লাহ তাদের মুসলিম বানিয়ে দিবেন। মক্কা থেকে প্রতিটি মুসলমান মদিনায় হিজরত করেছিল। মক্কায় প্রতিটি সাহাবীর (রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম) বাড়ি, মাল ও নানাবিধ সম্পদ ছিল। কিন্তু ধর্মীয় কারণে তারা তাদের সমস্ত সম্পদ পরিত্যাগ করে একপ্রকার খালি হাতে মদিনায় চলে যান। এরপর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিজয়ীর বেশে তাদের মক্কায় ফিরিয়ে আনেন। কাজেই এ ঘটনার মধ্যে চিন্তাশীলদের জন্য শিক্ষা আছে। ভারতীয় মুসলিমরা এ কোরবানিটুকু তখন করেনি। আজকে তাদের কাফফারাসহ সে কোরবানি দিতে হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী বাঙ্গালী মুসলিমরা আল্লাহর ইচ্ছায় পাকিস্তানের সাথে যোগ দিয়ে বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর অংশ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আমাদের তৎকালীন নেতাদের আল্লাহ জাযাখায়ের দান করুন যারা বাংলাদেশকে ভারতের সাথে না রেখে পাকিস্তানের সাথে সংযোজন করেছিলেন। তাদের কবরে চিরকাল এর সওয়াব পৌঁছিয়ে দিন। কারণ ভারতের সাথে থাকলে আজকে বাংলাদেশেরও কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, গুজরাট ও দিল্লীর মতো পরিস্থিতি হতো। এরপর যদিও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তা হতেই পারে। সাহাবী রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুমদের মধ্যেও রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন। কিন্তু সেসময় যেসব হিন্দু নেতারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিল আল্লাহ তাদের সমূলে উৎখাত করে দিয়েছেন। ভারতীয় কংগ্রেস, ইন্দিরা গান্ধী এসব আজকে বই পুস্তকের ইতিহাসের বিষয় হয়ে গেছে। তাদের আজ আর বাস্তব কোন ভ্যালু নেই। এসবই আল্লাহর ইচ্ছা। কারণ মানুষ ষড়যন্ত্র করে, কিন্তু আল্লাহই মহাপরিকল্পনাকারী।
সেদিন ভারতীয় মুসলমানরা মুসলিম প্রধান অঞ্চলে হিজরত করেননি। হয়তোবা নিজ জন্মভূমি ভারতে তাদের বাড়ি, মাল ও সম্পদ ছিল যা ফেলে রেখে যাওয়ার কথা তারা চিন্তা করতে পারেননি। এরপর সারাজীবন তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদ, বা আমি একজন ভারতীয় মুসলিম জপতে জপতে জীবন পার করল। কখনো ইসলামকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তারা চিন্তা করেনি। বরং ইসলাম ধর্মকে তারা রাষ্ট্রীয় সীমানা থেকে দেওবান্দ মাদ্রাসা, নিজামুদ্দিন ও খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির মাজারে বন্দি করে ফেলল। কিন্তু তারপরও তাদের শেষরক্ষা হলো না। ঠিকই হিন্দুরা তাদের হিংস্র দাঁত বের করে তাদের উপর আক্রমণ করল।
এসব কিছুর পরও আমরা বাঙ্গালী মুসলিমরা জানি, ভারতীয় মুসলিমরা আমাদের ভাই। একই উম্মাহর রক্ত আমাদের শরীরে প্রবাহমান। তারা কষ্ট পেলে আমরাও কষ্ট পাই। তাদের উদ্বিগ্নতায় আমরাও উদ্বিগ্ন হই। তাদের নির্ঘুম রাত আমাদেরও ঘুমাতে দেয় না। এটাই আমাদের বড় পরিচয় আমরা মুসলিম ভাই। আজ আর কারো দোষ খোঁজার সময় নয়। এখন সময় হয়েছে সবার সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতিকে একপাশে ফেলে শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ের কারণে ভাই ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরা। ভাই ভাইয়ের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা।
No comments