Header Ads

Header ADS

সিদরাতুল মুনতাহাঃ সংক্ষিপ্ত পরিচয়।

সিদরাতুল মুনতাহাঃ সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
আশরাফ মাহমুদ।

সিদরা শব্দের কুল বা বড়ই গাছ,মুনতাহা শব্দের অর্থ শেষ সীমানা। অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থে সিদরাতুল মুনতাহার অর্থ দাঁড়ায় শেষ সীমানায় অবস্থিত বড়ই গাছ যা' আল্লাহর এক অপরুপ সৃষ্টি।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) যখন মেরাজের রাতে আল্লাহর সান্নিধ্যের জন্য যাত্রা করেন সপ্তম আসমানে এই গাছের দেখা পান। মূলত এটি-ই আল্লাহ এবং তার সৃষ্টির মধ্যকার দেয়াল হিসেবে কাজ করে। এর পরেই আল্লাহর আরশের অবস্থান ।
অপরুপ এই গাছটির শিকড় সপ্তম আসমান থেকে ষষ্ঠ আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত। মহানবী (সা.) সিদরাতুল মুনতাহার বর্ণনা করার সময় বলেন -
"গাছটির পাতাগুলো ছিল হাতির কানের মত বড়,আর এর রং প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছিল,পৃথিবীতে আমরা যে সব রং দেখি তা মূলত রংধনুর সাতটি রঙের সৃষ্টি ,কিন্তু এই গাছটির রংগুলো ছিল অন্যরকম, যা বোঝানো সম্ভব নয়। এর চারপাশে অনেক প্রজাপতি ঘোরাফেরা করছিল"।
পৃথিবীতে আল্লাহ কোন কিছু পাঠাতে চাইলে তা মূলত সর্বপ্রথম সিদরাতুল মুনতাহায় আসে তারপর ফেরেশতাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে। আবার পৃথিবীবাসীর দোয়া বা অন্যকিছু ও তেমনি সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আল্লাহর কাছে পৌঁছায়।
এই গাছটির কাছেই মহানবী দ্বিতীয় বারের মত জীবরাঈল (আঃ) পূর্ণরূপে দেখেছিলেন। সিদরাতুল মুনতাহার রয়েছে চারটি ঝর্না যেগুলোর দুইটি গেছে জান্নাতে আর দুটি এসেছে পৃথিবীতে।
পৃথিবীর দুটির নাম হল মিশরের নীল নদ আর ইরাকের ফোরাত নদী। আর জান্নাতের নদী দুটির নাম হল কাওসার আর সালসাবিল। হাশরের ময়দানে মহানবী (সাঃ) তার প্রিয় বান্দাদেরকে হাওজে কাওসারের পানি পান করাবেন যার ফলে তাদের আর কোনদিন তৃষ্ণা পাবে না (সুবহানআল্লাহ )। অপরদিকে আরেকটি কথা লক্ষনীয় যে পৃথিবীর নদী দুটিকে ঘিরেই কিন্তু প্রাচীন সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল। বলা যায় পানি পৃথিবীতে মূলত এই নদী দুটির মাধ্যেমেই পৃথিবীতে আসে।
বিগ ব্যাং এর পর বিশ্বজগতের প্রান্তসীমা সম্পর্কে বিজ্ঞান জানে না। জানবেও না। সম্ভব না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তার নবী মোহাম্মদ সা. এর মারফত বিশ্বজগতের শেষ সীমা সম্পর্কে মানবজাতিকে জানিয়ে দিলেন।
সিদরাতুল মুনতাহা নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণাঃ
অনেকের মতে পৃথিবীতে কেউ জন্ম নিলে সিদরাতুল মুনতাহায় নতুন একটি পাতা গজায় আর কারো বয়স শেষের দিকে হলে পাতাটি শুকাতে থাকে এবং এ থেকে ফেরেশতারা বুঝেন তার জান কবজের সময় ঘনিয়ে এসেছে,এই কথাগুলো সম্পর্কে সহীহ হাদীস এখনো পাওয়া যায় নি। তাই এই ধরনের বিশ্বাস রাখা থেকে বিরত থাকুন।
আশরাফ মাহাম্মুদ

No comments

Powered by Blogger.