শাইখ মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন জনৈক ভক্ত।
অনেক কষ্ট করে কোরআন হাদীস থেকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করে পোষ্ট টা লিখেছি। দয়া করে পুরো পোষ্ট টি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
(নবীজী ছিলেন নিরক্ষর)
ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী উনার এক বক্তব্যে বলেছিলেন যে, "রাসুল (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন"
এই কথার প্রেক্ষিতে তথাকথিত কিছু আলেমসমাজ মিজানুর রহমান আজহারী কে কাফের ফতুয়া দিয়ে ইহুদিদের দালান বানিয়ে ফেলেছেন। অথচ পবিত্র কোরআন শরীফের সূরাহ আল-আরাফ এর (১৫৮) নাম্বার আয়াতে আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন "বাংলা অনুবাদ" (সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তার প্রেরিত "উম্মী" নবীর উপর)
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসবে আল্লাহতালা রাসুল (সাঃ) কে "উম্মী" বলেছেন, নিরক্ষর বললেন নি। তাই আপনাদের জেনে রাখা উচিৎ যে, উম্মী শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে নিরক্ষর।
তাতেও হয়তো অনেক শিক্ষিতদের মনে দ্বিধা থেকে যাবে, কারণ আজকালকার শিক্ষিতরা আরবি না বুঝলেও ইংরেজি ঠিকই বোঝেন। তাই এই আয়াতের ইংরেজি বাক্য তুলে ধরছি (So believe in allah and his messenger, the "unlettered" prophet)
ইংরেজিতে এই "unlettered" শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে নিরক্ষর। অতএব আল্লাহতালা নিজেই নবী রাসুল (সাঃ) কে পবিত্র কোরআন শরীফে নিরক্ষর বলেছেন। পারলে এখন আল্লাহতালার বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে দেখান...
এখন "নিরক্ষর" শব্দ সম্পর্কে একটু জ্ঞান নিন।
নিরক্ষর কাহাকে বলে ?
সাধারণ অর্থে যার অক্ষর জ্ঞান নেই তাকেই নিরক্ষর বলে।
রাসুল (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন কিন্তু মুর্খ ছিলেন না। রাসুল (সাঃ) লেখা পড়া করে শিক্ষা লাভ করেন নি। যা শিখেছেন সরাসরি আল্লাহতালার কাছ থেকেই শিখেছেন।
(নবী ছিলেন সিক্স প্যাক)
মিজানুর রহমান আজহারী উনার বক্তব্যে বলেছিলেন যে রাসুল (সাঃ) সুঠাম এবং সুন্দর দেহের অধিকারী ছিলেন। এখনকার সুঠাম এবং সুন্দর দেহ বলতে যুবকরা সিক্স প্যাককেই বুঝে। তাই সহজ ভাবে বুঝাতে গিয়ে উনি সিক্স প্যাক শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
এটা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। সাধারণ জ্ঞানই যদি কোনো মানুষের না থাকে তাহলে যতই সহজ ভাষায় তাদেরকে বুঝানো হোক না কেনো সাধারণ জ্ঞানহীন মানুষরা বুঝেও না বুঝার ভান করবে, এটাই স্বাভাবিক।
মা খাদিজাতুল কুবরা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী যে শব্দ গুলো ব্যবহার করেছেন তা নিয়েও অনেক বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছিল। উনি উনার বক্তব্যে বলেছিলেন যে, মা খাদিজাতুল কুবরা বিধবা ছিলেন, তালাক প্রাপ্ত ছিলেন, virgin ছিলেন না। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) খাদিজাতুল কুবরা কে বিয়ে করার পূর্বে উনার আরো ২টি বিয়ে হয়েছিল। উনার ১ স্বামী উনাকে তালাক দিয়েছিল। এই ঘটনা গুলো মা খাদিজাতুল কুবরার জীবনীগ্রন্থে স্পষ্ট ভাবে লিখা হয়েছে।
(মা খাদিজাতুল কুবরা "virgin" ছিলেন না)
"virgin" শব্দের বাংলা অর্থ "কুমারী"।
একজন মহিলার বিয়ে হওয়ার পর সে কুমারী থাকে না, এটা জানা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়।
যেহেতু রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ে হওয়ার পূর্বে মা খাদিজাতুল কুবরার আরো ২টি বিয়ে হয়েছিল, সেহেতু মা খাদিজাতুল কুবরা কুমারী থাকার কথা না। এটাও সাধারণ জ্ঞানের বিষয়।
তবে মা খাদিজাতুল কুবরার বিষয়ে এই শব্দ গুলো ব্যবহার করা অসম্মানজনক, যা ব্যবহার করা উনার উচিৎ হয় নি। আর এ কারনেই মিজানুর রহমান আজহারী ফেসবুকে লাইভে এসে ক্ষমাও চেয়েছেন।
"হযরত আলী (রাঃ) মদ পান করতেন"
ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী উনার বক্তব্যে তখনকার ঘটনার কথা বর্ননা করেছিল, যখনকার সময় মদ পান করা পুরোপুরি হারাম ছিলো না। ইসলামে কোনো এক সময় মদ পান করা হালাল ছিলো। মদ পান করা কে আল্লাহতালা ৪ দফায় হারাম করেছিলেন।
এ ব্যাপারেও মিজানুর রহমান আজহারী তার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাবে আলোচনা করেছেন। আলোচনা গুলো পুরপুরি না শুনে অল্প কয়েকটা লাইনের উপর ভিত্তি করে কারো বিরুদ্ধে কথা বলা মূর্খদের কাজ। দুঃখজনক বিষয়, উনি এতো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বক্তব্য দেয়ার পরও মানুষ উনার মাহফিল কে নিষিদ্ধ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে...!
মানুষ মাত্রই ভুল, বক্তব্য দিতে গিয়ে কথার ছলে অনেক ভুল হতেই পারে। আর সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়াই মুমিনদের দায়িত্ব। একজন মানুষ ভুল করার কারনে তাকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া মুমিনদের দায়িত্ব নয়। তা ছাড়া যতবারই মিজানুর রহমান আজহারীর ভুল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ততবারই তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে সেই ভুল গুলোকে সংশোধন করার চেষ্টাও করেছেন।
মিজানুর রহমান আজহারী যদি কাফের আর ইহুদিদের দালাল হয়ে থাকেন তাহলে উনি ইসলাম প্রচার করে দিনের খিদমত করছেন কেনো ?
উনার তো ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার কথা...!
মুসলমান মুমিনদের কে পথভ্রষ্ট করার কথা...!
তা না করে উনি মুসলমান মুমিনদের কে ইসলামের পথে চলার শিক্ষা দিচ্ছেন কেনো ?
আমি আবারও বলছি, এ গুলো বুঝতে সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োজন। সাধারণ জ্ঞানই যদি কোনো মানুষের না থাকে তাহলে যতই সহজ ভাষায় তাদেরকে বুঝানো হোক না কেনো সাধারণ জ্ঞানহীন মানুষরা বুঝেও না বুঝার ভান করবে, আর এটাই স্বাভাবিক। আশা করি বিবেক বুদ্ধি আর নূন্যতম লজ্জাবোধ থাকলে এসব বিষয়ে আর মন্তব্য করতে আসবেন না।
যারা মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন, আপনাদের সবাইকে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। কারণ আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি কোরআন হাদীসের অনেক গুলো আয়াত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারলাম। এবং আল্লাহতালা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রতি আমার ভালবাসা আরো গভীর করে দিয়েছেন।
💞আলহামদুলিল্লাহ 💞
![]() |
মিজানুররহমানআজহারী |
(নবীজী ছিলেন নিরক্ষর)
ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী উনার এক বক্তব্যে বলেছিলেন যে, "রাসুল (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন"
এই কথার প্রেক্ষিতে তথাকথিত কিছু আলেমসমাজ মিজানুর রহমান আজহারী কে কাফের ফতুয়া দিয়ে ইহুদিদের দালান বানিয়ে ফেলেছেন। অথচ পবিত্র কোরআন শরীফের সূরাহ আল-আরাফ এর (১৫৮) নাম্বার আয়াতে আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন "বাংলা অনুবাদ" (সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তার প্রেরিত "উম্মী" নবীর উপর)
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসবে আল্লাহতালা রাসুল (সাঃ) কে "উম্মী" বলেছেন, নিরক্ষর বললেন নি। তাই আপনাদের জেনে রাখা উচিৎ যে, উম্মী শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে নিরক্ষর।
তাতেও হয়তো অনেক শিক্ষিতদের মনে দ্বিধা থেকে যাবে, কারণ আজকালকার শিক্ষিতরা আরবি না বুঝলেও ইংরেজি ঠিকই বোঝেন। তাই এই আয়াতের ইংরেজি বাক্য তুলে ধরছি (So believe in allah and his messenger, the "unlettered" prophet)
ইংরেজিতে এই "unlettered" শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে নিরক্ষর। অতএব আল্লাহতালা নিজেই নবী রাসুল (সাঃ) কে পবিত্র কোরআন শরীফে নিরক্ষর বলেছেন। পারলে এখন আল্লাহতালার বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে দেখান...
এখন "নিরক্ষর" শব্দ সম্পর্কে একটু জ্ঞান নিন।
নিরক্ষর কাহাকে বলে ?
সাধারণ অর্থে যার অক্ষর জ্ঞান নেই তাকেই নিরক্ষর বলে।
রাসুল (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন কিন্তু মুর্খ ছিলেন না। রাসুল (সাঃ) লেখা পড়া করে শিক্ষা লাভ করেন নি। যা শিখেছেন সরাসরি আল্লাহতালার কাছ থেকেই শিখেছেন।
(নবী ছিলেন সিক্স প্যাক)
মিজানুর রহমান আজহারী উনার বক্তব্যে বলেছিলেন যে রাসুল (সাঃ) সুঠাম এবং সুন্দর দেহের অধিকারী ছিলেন। এখনকার সুঠাম এবং সুন্দর দেহ বলতে যুবকরা সিক্স প্যাককেই বুঝে। তাই সহজ ভাবে বুঝাতে গিয়ে উনি সিক্স প্যাক শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
এটা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। সাধারণ জ্ঞানই যদি কোনো মানুষের না থাকে তাহলে যতই সহজ ভাষায় তাদেরকে বুঝানো হোক না কেনো সাধারণ জ্ঞানহীন মানুষরা বুঝেও না বুঝার ভান করবে, এটাই স্বাভাবিক।
মা খাদিজাতুল কুবরা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী যে শব্দ গুলো ব্যবহার করেছেন তা নিয়েও অনেক বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছিল। উনি উনার বক্তব্যে বলেছিলেন যে, মা খাদিজাতুল কুবরা বিধবা ছিলেন, তালাক প্রাপ্ত ছিলেন, virgin ছিলেন না। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) খাদিজাতুল কুবরা কে বিয়ে করার পূর্বে উনার আরো ২টি বিয়ে হয়েছিল। উনার ১ স্বামী উনাকে তালাক দিয়েছিল। এই ঘটনা গুলো মা খাদিজাতুল কুবরার জীবনীগ্রন্থে স্পষ্ট ভাবে লিখা হয়েছে।
(মা খাদিজাতুল কুবরা "virgin" ছিলেন না)
"virgin" শব্দের বাংলা অর্থ "কুমারী"।
একজন মহিলার বিয়ে হওয়ার পর সে কুমারী থাকে না, এটা জানা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়।
যেহেতু রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ে হওয়ার পূর্বে মা খাদিজাতুল কুবরার আরো ২টি বিয়ে হয়েছিল, সেহেতু মা খাদিজাতুল কুবরা কুমারী থাকার কথা না। এটাও সাধারণ জ্ঞানের বিষয়।
তবে মা খাদিজাতুল কুবরার বিষয়ে এই শব্দ গুলো ব্যবহার করা অসম্মানজনক, যা ব্যবহার করা উনার উচিৎ হয় নি। আর এ কারনেই মিজানুর রহমান আজহারী ফেসবুকে লাইভে এসে ক্ষমাও চেয়েছেন।
"হযরত আলী (রাঃ) মদ পান করতেন"
ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী উনার বক্তব্যে তখনকার ঘটনার কথা বর্ননা করেছিল, যখনকার সময় মদ পান করা পুরোপুরি হারাম ছিলো না। ইসলামে কোনো এক সময় মদ পান করা হালাল ছিলো। মদ পান করা কে আল্লাহতালা ৪ দফায় হারাম করেছিলেন।
এ ব্যাপারেও মিজানুর রহমান আজহারী তার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাবে আলোচনা করেছেন। আলোচনা গুলো পুরপুরি না শুনে অল্প কয়েকটা লাইনের উপর ভিত্তি করে কারো বিরুদ্ধে কথা বলা মূর্খদের কাজ। দুঃখজনক বিষয়, উনি এতো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বক্তব্য দেয়ার পরও মানুষ উনার মাহফিল কে নিষিদ্ধ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে...!
মানুষ মাত্রই ভুল, বক্তব্য দিতে গিয়ে কথার ছলে অনেক ভুল হতেই পারে। আর সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়াই মুমিনদের দায়িত্ব। একজন মানুষ ভুল করার কারনে তাকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া মুমিনদের দায়িত্ব নয়। তা ছাড়া যতবারই মিজানুর রহমান আজহারীর ভুল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ততবারই তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে সেই ভুল গুলোকে সংশোধন করার চেষ্টাও করেছেন।
মিজানুর রহমান আজহারী যদি কাফের আর ইহুদিদের দালাল হয়ে থাকেন তাহলে উনি ইসলাম প্রচার করে দিনের খিদমত করছেন কেনো ?
উনার তো ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার কথা...!
মুসলমান মুমিনদের কে পথভ্রষ্ট করার কথা...!
তা না করে উনি মুসলমান মুমিনদের কে ইসলামের পথে চলার শিক্ষা দিচ্ছেন কেনো ?
আমি আবারও বলছি, এ গুলো বুঝতে সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োজন। সাধারণ জ্ঞানই যদি কোনো মানুষের না থাকে তাহলে যতই সহজ ভাষায় তাদেরকে বুঝানো হোক না কেনো সাধারণ জ্ঞানহীন মানুষরা বুঝেও না বুঝার ভান করবে, আর এটাই স্বাভাবিক। আশা করি বিবেক বুদ্ধি আর নূন্যতম লজ্জাবোধ থাকলে এসব বিষয়ে আর মন্তব্য করতে আসবেন না।
যারা মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন, আপনাদের সবাইকে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। কারণ আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি কোরআন হাদীসের অনেক গুলো আয়াত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারলাম। এবং আল্লাহতালা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রতি আমার ভালবাসা আরো গভীর করে দিয়েছেন।
💞আলহামদুলিল্লাহ 💞
No comments