দিল্লী পুড়ছে, পুরো ভারতে CAA প্রটেস্ট হচ্ছে : কায়সার আহমাদ।
দিল্লী পুড়ছে, পুরো ভারতে CAA প্রটেস্ট হচ্ছে : কায়সার আহমাদ।
দিল্লী পুড়ছে, পুরো ভারতে CAA প্রটেস্ট হচ্ছে।কেজরীওয়াল থামাতে ব্যর্থ। মারা গেছে ৩ জন। ১ পুলিশ মরেছে। ১৪৪ ধারা আরোপ করা হয়েছে। তা প্রচার না করে পুরো ফোকাস করা হয়েছে ট্রাম্পের সফর, ট্রাম্পের স্পিচ, তার খাবারের, তাজমহলে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য দেখিয়ে। ট্র্যাম্প এসেছিল আমেরিকায় থাকা ৪০ লাখ ভারতীয় ভোট নিশ্চিত করার জন্য। মূর্খ ভারতীয়দের কিছু সুনাম গেয়ে আশা করি সে তাদের মন জয় করে ফেলেছে। কিন্তু মোদী সরকার এবং মিডিয়া মেশিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেমন প্রপাগান্ডা চালিয়েছিল। ট্র্যাম্প এসে পাকিস্তানের সমালোচনা করবে, ইমরান খান দুশ্চিন্তায় পরে যাবে ইত্যাদি উপস্থাপন করছিল। বাস্তবে হল সব উল্টো। ট্র্যাম্প পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলেছে। পাকিস্তানের সাথে তাদের সম্পর্কের উন্নয়নের জানান দিয়েছে। এতে পুরো স্টেডিয়ামে পিন পতন নীরবতা দেখা যায়। যদিও মুসলিম ফান্ডামেন্টালিস্ট নিয়ে ট্র্যাম্প কথা বলেছে, তবে তা আমার কাছে নতুন কিছু মনে হয়নি।
ভারতের অবস্থা ভয়াবহ, বিশেষ করে অর্থনীতির অবস্থা। ৩০ বছরের ইতিহাসে অর্থনীতির সূচক গুলোর এত খারাপ অবস্থা আর হয়নি। কয়েকদিন আগেও কেরালায় সিএএ-বিরোধী বিশাল সমাবেশ হয়েছে। দিল্লীর শাহিন বাগে প্রায় দুই মাস ধরে সড়ক বন্ধ করে প্রটেস্ট চলছে। এই সব বিগ বিগ নিউজ বাদ দিয়ে ট্র্যাম্প নিয়ে মেতে থাকা যেন নিরক্ষর জনগণকে খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা।
তালিবানের চুক্তি হবে ইংশাআল্লাহ। যদি তা সত্যিই হয় সবচে বেশি কষ্ট পাবে ভারত। ভারতের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেই ট্র্যাম্প ভারতের ভুরি ভুরি তারিফ করেছে। মনে হয় না সে আসলেই বলিউড এবং শচিন কোহলি সম্পর্কে জানে কিন্তু তাদের কথা বলে গেল। বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষত্ব নিয়ে বয়ান করল। এই সকল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মোদী ট্রাম্পের এবং ভারতীয় জনগনের মন জয় করার প্রয়াস চালিয়েছে।
দুনিয়ার সবচে হাই প্রোফাইল ব্যক্তি ভারত সফর করেছে আর এমন সময় রাজধানী পুড়ছে, দাঙ্গা হচ্ছে। এতে অনেকে দায়ী। হতে পারে মোদীর সমর্থিত গ্রুপকে লেলিয়ে দেয়া হয় এমন সময় যখন পুরো ভারত আহমাদবাদের স্টেডিয়ামের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে রাখে। পুলিশকে প্রটেস্টারদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়। দাঙ্গা শুরু হয় দোকান, বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এমনকি আরএসএস-রা পুলিশের সাড়িতে ঢুকে মুসলিমদের উপর গুলি বর্ষণ করে।
দিল্লী ডিপুটি চিফ মিনিস্টার মানিশ শিসোদিয়া টুইট করেন, "তিন দশক ধরে দিল্লীতে আছি কিন্তু কখনো এত ভীতিগ্রস্থ হইনি। কী হচ্ছে? কারা দিল্লীতে আগুন লাগিয়েছে? অত্যন্ত দুঃখিত এবং ব্যথিত হয়েছি। এটা কী আমাদের ভালবাসার দিল্লী। এটা আমাদের দেশের রাজধানী। অবশ্যই শহরকে বাঁচাতে হবে।"
এখনি সময় পুরো ভারতের ২৫ কোটি মুসলিমদের ঐক্য গড়ার। আলহামদুলিল্লাহ ঐক্য হচ্ছে। বেশ কয়েজন ভারতীয় মুসলিমের সাথে কথা হয়েছে, তারা সকলেই বলেছে 'আমরা মতভিন্নতা ভুলে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছি'। আর বিশেষ একটি বাক্য কয়েকজন ভারতীয় আমাকে বলেছে, যা আমি আগে তাদের মুখে আশা করিনি, "ভাইজান উম্মাহ কে লিয়ে দু'আ কিজিয়ে"।
No comments