চায়নার করোনা সমস্যা যেমন জটিল। এর সমাধানও জটিল। সমাধান থেকে বিপদে পড়া আরো জটিল। বিপদ থেকে পরিত্রানের পথ তারচেয়েও জটিল!
চায়নার করোনা সমস্যা যেমন জটিল। এর সমাধানও জটিল। সমাধান থেকে বিপদে পড়া আরো জটিল। বিপদ থেকে পরিত্রানের পথ তারচেয়েও জটিল!
আরিফ মাহমুদ
সাইফুল্লাহ।
অনুমান করা হয় ১৯৫৮ সালে মাত্র একদিনে চায়নায় আনুমানিক ৬০০ মিলিয়ন চড়ুইপাখিকে হত্যা করা হয়। চায়নার মাও জিডং এই পাখির বিরুদ্ধে নিজেই মৃত্যু পরোয়ানা পাঠ করেন। কারণ- এরা দেশের শস্য নষ্ট করে। এই পাখি হত্যার মিশন ছিলো বড়ই অদ্ভূত। ঘোষণা মতো- একটি নির্দিষ্ট দিনে-সমস্ত চায়নীজরা ড্রাম, মেটালের প্লেট, বাটি, চামচ ইত্যাদি নিয়ে ঘরের বাইরে আসে এবং একটানা সবাই রাস্তায়, মাঠে, ক্ষেতে, যে যেখানে পারে সেখানে দাঁড়িয়ে এসব বাজাতে থাকে। পুরো দেশব্যাপি তৈরি হয় বিকট শব্দের উন্মাদনা। ভয়ার্ত পাখিরা আকাশে উড়াউড়ি করতে থাকে। ভয়ে মাঠে নামতে পারেনা। ক্রমাগত আকাশে উড়তে উড়তে অসহায় পাখিগুলো একসময় ক্লান্ত হয়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে। কেউ কেউ এদেরকে শিকার করে, কেউ কেউ ঝাকে ঝাকে এদেরকে ধরে ঘরে নিয়ে যায়। তারপর স্পেরো স্যুপ বানিয়ে খেয়ে ফেলে। পুরো একদিনেই চায়না চড়ুই পাখি মুক্ত হয়।
কিন্তু এরপরই নেমে আসে পুরো চায়নায় এনভায়োরোমেন্টাল ডিজাস্টার। প্রকৃতি তার বিরুদ্ধাচারণ পছন্দ করেনা। সে তার আপন নিয়মে এর প্রতিশোধ নেয়। দেখা গেলো- ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই পাখিগুলো খুন করা হয়। চড়ুই শস্য খায় কথা ঠিক। কিন্তু তার চেয়ে বেশী খায় এরা ক্ষেতের পোকামাকড় । যা হবার তাই হলো। ক্ষেতে পোকামাকড় ভয়ানকভাবে বেড়ে গেলো। পুরো চায়না শস্যক্ষেতে ধবস নামলো। দেশব্যাপি কৃষিপন্যের ভয়াবহ রকমের ঘাটতি দেখা গেলো।
পরের তিন বছর পুরো চায়নায় ফেমিন আঘাত করে। ইকোনোমিক মিসম্যানেজমেন্ট, এনভায়োরোমেন্টাল ডিজাস্টারস আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে পড়ে সমাজে নেমে আসে নিদারুন দুর্দশা। খাদ্যের জন্য হাহাকার। মানুষ মানুষকে ধরে খাওয়া শুরু করে। মানুষ মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। এমনকি পিতা তার সন্তানকে খায়। সন্তান খায় পিতাকে। মারা যায় প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মানুষ। যদিও বা চায়না অফিশিয়ালি স্বীকার করে এই ডিজস্টারের ফলে ১৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিলো। বিখ্যাত চায়নীজ জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং এসব মর্মন্তুদ ঘটনার নিঁখুত বর্ণনা দিয়ে তাঁর বিখ্যাত বই লেখেন-"Tombstone"। বইটি প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যে চায়না সরকার এটিকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ বইয়ের লিস্টে ফেলে দেয়। জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং আত্মোগোপনে চলে যান।
পরের তিন বছর পুরো চায়নায় ফেমিন আঘাত করে। ইকোনোমিক মিসম্যানেজমেন্ট, এনভায়োরোমেন্টাল ডিজাস্টারস আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে পড়ে সমাজে নেমে আসে নিদারুন দুর্দশা। খাদ্যের জন্য হাহাকার। মানুষ মানুষকে ধরে খাওয়া শুরু করে। মানুষ মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। এমনকি পিতা তার সন্তানকে খায়। সন্তান খায় পিতাকে। মারা যায় প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মানুষ। যদিও বা চায়না অফিশিয়ালি স্বীকার করে এই ডিজস্টারের ফলে ১৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিলো। বিখ্যাত চায়নীজ জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং এসব মর্মন্তুদ ঘটনার নিঁখুত বর্ণনা দিয়ে তাঁর বিখ্যাত বই লেখেন-"Tombstone"। বইটি প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যে চায়না সরকার এটিকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ বইয়ের লিস্টে ফেলে দেয়। জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং আত্মোগোপনে চলে যান।
চায়না এখনো এক জটিল করোনা ভাইরাস সমস্যার মুখোমুখি। এর থেকে পরিত্রানের পথ কি রকম জটিল হবে কে জানে?
হাতি কত বড় প্রাণী। এক পায়ে অসংখ্য পিঁপড়া পিষে মেরে ফেলতে পারে। আবার, একটা অতি ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া অথবা পিঁপড়া এই বিশাল হাতির মৃত্যুর কারণ হতে পারে।পারমানবিক বোমা থেকে মানুষ ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়না। মানুষ নিজেকে অসহায় মনে করেনা। যতটুকু মানুষ অসহায় মনে করছে আজ একটা ভাইরাস নিয়ে।
আজকে ভোরের খবর- করোনা ভাইরাস ইতালিতে বিস্তার করেছে, ইরানে হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং সেখানে আটজন ইতোমধ্যে মারা গেছে, ক্রোজ শীপে ছড়িয়ে পড়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় স্কুল , কলেজ, মল আপাতত বন্ধ রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো এরকম মিনিমাম হাইজিন আর হেল্থ ফেসেলিটিসের ঘনবসতি জায়গায় যদি একবার ঢুকে পড়ে কী ভয়াবহ অবস্থার শিকার মানুষ হবে- ভাবতেই অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। ভাইরাস ধর্ম, বর্ণ, জাতি, কালো , ধলা, এশিয়ান, আফ্রিকান, ইউরোপিয়ান কিছুই চেনেনা।
এই ভাইরাস বুঝিয়ে দিয়েছে- মানুষ তুমি যত বড় ক্ষমতা, ধন দৌলত , মারণাস্ত্রের অহংকার করোনা কেন? প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গেলে তোমার শক্তি, বল , কৌশল, তোমার সব মারণাস্ত্র নিয়েও আসলে তুমি খুবই অসহায় আর অতি তুচ্ছ।
আজকে ভোরের খবর- করোনা ভাইরাস ইতালিতে বিস্তার করেছে, ইরানে হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং সেখানে আটজন ইতোমধ্যে মারা গেছে, ক্রোজ শীপে ছড়িয়ে পড়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় স্কুল , কলেজ, মল আপাতত বন্ধ রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো এরকম মিনিমাম হাইজিন আর হেল্থ ফেসেলিটিসের ঘনবসতি জায়গায় যদি একবার ঢুকে পড়ে কী ভয়াবহ অবস্থার শিকার মানুষ হবে- ভাবতেই অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। ভাইরাস ধর্ম, বর্ণ, জাতি, কালো , ধলা, এশিয়ান, আফ্রিকান, ইউরোপিয়ান কিছুই চেনেনা।
এই ভাইরাস বুঝিয়ে দিয়েছে- মানুষ তুমি যত বড় ক্ষমতা, ধন দৌলত , মারণাস্ত্রের অহংকার করোনা কেন? প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গেলে তোমার শক্তি, বল , কৌশল, তোমার সব মারণাস্ত্র নিয়েও আসলে তুমি খুবই অসহায় আর অতি তুচ্ছ।
সুতরাং! বান্দা হিসেবে মহাশক্তিধর আল্লাহ তায়ালার দেয়া নিয়ম মেনে তাঁর সাহায্য কামনা করার বিকল্প আমাদের কাছে নেই।ফিরে আসুন রবের পানে..সময় দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে আমাদের...
No comments